হেডলাইটের আলোয় একটি কুকুর

বাইরে ঝুম বৃষ্টি। ফোনের স্ক্রিনের উপর তেঁতুল রেখে জানালা বন্ধ করতে গেলো শুভ্র। বিন্দুর বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন। কনেপক্ষ বিন্দুর জন্য আচার পাঠিয়েছে। তার আচার খেতে বিরাট অনাগ্রহ। সে গতকাল বিকেলে এসে পুরো এক জার আচার শুভ্রকে দিয়ে গেছে। মেয়েদের তেঁতুলের আচারের প্রতি এত অনাগ্রহ ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি। অদ্ভুত ব্যাপার…
জানালা বন্ধ করে এসে শুভ্র দেখলো আচারের উপর দুটো কালো পিঁপড়া উবুত হয়ে শুয়ে আছে। বোধহয় মারা গেছে। টারটারিক এসিড খেয়ে পিঁপড়া মারা যাবে, এটাই স্বাভাবিক। তেঁতুলে টারটারিক এসিড বিদ্যমান। বিন্দু আকারে বড় এবং ফর্সা। নাহলে তাকেও কালো পিঁপড়া ভেবে কিছুক্ষণ হাসা যেত। একটা কালো পিঁপড়া মারা যাবার ভয়ে আচার খাচ্ছেনা। আরেকজনকে দিয়ে দিচ্ছে। এটা ভেবেই শুভ্র পৈশাচিক হাসিতে মেতে উঠলো।
অতঃপর ফোনের উপর রাখা তেঁতুলের আচারে এক চামচ মরিচের গুড়া আর বিটলবণ ছিটিয়ে খাওয়া শুরু করলো। এরমধ্যেই বিন্দু ফোন দিলো। ফোনের উপর অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে ফোন রিসিভ করা সম্ভব নয়। শুভ্র আচার খাওয়া চালিয়ে গেলো। বৃষ্টি আরো বেড়েছে। বাইরে অন্ধকার। একটু পরপরই আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠছে…
হঠাৎ জানালার কাঁচে একটা কুকুর নক করলো…
খন্দকার নাঈম আবরার
খন্দকার নাঈম আবরার: শেষের লাইনের মর্মার্থ কি বুঝিলাম না…
।
।
?????
Kazi Nipu
সবকিছু বুঝতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কৌতুহল মানুষের বেঁচে থাকার বড়সড় একটি কারণ…
মেরুদন্ডহীন স্তন্যপায়ী
ব্যাপারখানা ইন্টারেস্টিং।
তারচেয়ে আরো বেশি ইন্টারেস্টিং…
আমার কখনো ফোনের উপর আচার রেখে খাওয়া হয়নি। ভাবতেসি খাওয়া লাগবে।